ওভালে ভারত-ইংল্যান্ড পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিন: ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে খেলা, ভারত অলআউট ২২৪ রানে

দুপুরের বিরতিতে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী শুরু
লন্ডনের ওভালে পঞ্চম ও শেষ টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দুপুরের বিরতিতে ইংল্যান্ড ১০৯ রানে ১ উইকেট হারিয়ে ব্যাট করছে। তারা এখনও ভারতের প্রথম ইনিংসের তুলনায় ১১৫ রানে পিছিয়ে। জ্যাক ক্রলি ও ওলি পোপ অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন।
ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় ও করুণ নাইরের লড়াই
এর আগে, গাস অ্যাটকিনসনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ভারত মাত্র ২২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। করুণ নাইর সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে দলের মুখ রক্ষা করেন। প্রথম দিনের শেষে করুণ নাইর এবং ওয়াশিংটন সুন্দর অপরাজিত ছিলেন। বৃষ্টির কারণে দিনের বড় একটি অংশ ব্যাহত হলেও ইংল্যান্ডের পেসাররা সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেন।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় শুরু থেকেই বিঘ্নিত ম্যাচ
ম্যাচের প্রথম এবং দ্বিতীয় সেশনের মতোই তৃতীয় সেশনও বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হয়। দিনের শুরুতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগেভাগেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নেয়া হয় এবং পরে আবারও একটানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে চা-বিরতির সময় এগিয়ে আনা হয়।
গিলের রানআউট ও নাইর-সুধর্শনের জুটি
দ্বিতীয় সেশনের সংক্ষিপ্ত সময়ে ইংল্যান্ড ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিলকে রানআউট করে বড় সাফল্য পায়। একটি অস্পষ্ট রান নিতে গিয়ে গিল আউট হন, ফিল্ডার ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন। তার বিদায়ে মাঠে আসেন করুণ নাইর এবং সাই সুধর্শন। দুজনে মিলে ভারতের ইনিংস টেনে নিয়ে যান তৃতীয় সেশনে।
অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
দুই মাস বিরতির পর একাদশে ফিরে গাস অ্যাটকিনসন তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাঁচ উইকেট। তিনি ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দেন। এটি ছিল ম্যাচে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় চাল। উল্লেখযোগ্য যে, ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস আগের দিন কাঁধে আঘাত পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান।
ভারতের ইনিংস ভাঙার চূড়ান্ত আঘাত
দিনের শুরুতে ২০৪/৬ থেকে খেলা শুরু করেছিল ভারত। প্রথমে জশ টাং দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৫৭ রানে নাইরকে বোল্ড করেন। কিছুক্ষণ পরই ওয়াশিংটন সুন্দর গাস অ্যাটকিনসনের শর্ট বল ফাঁদে পা দিয়ে আউট হন—জেমি ওভারটন ডিপ স্কয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ নেন। এরপর মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা দ্রুত ফিরে যান। মাত্র ১৮ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ৬ রানে গুটিয়ে যায়।
সিরিজের সবচেয়ে কম স্কোর
ভারতের ২২৪ রানের ইনিংস এই সিরিজে এখন পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে করা সবচেয়ে কম স্কোর। এর আগে ম্যানচেস্টারে ভারতের সর্বনিম্ন ছিল ৩৫৮।
ইংল্যান্ডের বোলিং পরিসংখ্যানে অ্যাটকিনসনের স্থান
৬০ উইকেটপ্রাপ্ত ইংলিশ পেসারদের মধ্যে অ্যাটকিনসনের স্ট্রাইক রেট এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৩৪.৯) এবং গড়ে ২১ রান দিয়ে উইকেট নিয়ে তিনি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তার এই পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডকে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে এসেছে।